_অরণ্য সৌরভ
সবার আগে শিশু। শিশুরা সবার
আগে ত্রাণ
পাবে। শিশু অধিকার বাস্তবায়ন করুন।
শিশু
নির্যাতন বন্ধ করুন।
শিশুকে ফিরিয়ে দাও
তার অধিকার। এসব সুন্দর সুন্দর কথা আর
স্লোগান দিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড-
ফেস্টুন
নিয়ে আমরা রাস্তায় নামি।
র্যালি করি।
সভা-সমাবেশে, মিছিল, মিটিং,
সেমিনার আরো কত কি করি।
গালভরা বুলি আউড়িয়ে নিজের বুক
নিজেই
ফুলিয়ে রাখি। এতে কি হয়?
শিশুরা কি তাদের অধিকার
ফিরে পায়?
না, মোটেও নয়।
এখনো শিশুরা কলকারখানায় কাজ
করে।
কুলি খাটে, রিকশা চালায়, ভ্যান
চালায়,
বাসায় ঝি-চাকরের কাজ
করে বিত্তবানদের হাতে নির্যাতিত
হয়।
তা হলে আমাদের গালভরা বুলি আর
মিছিল
মিটিংকে তোমরা কি বলবে? এ
কি শিশুদের নিয়ে প্রতারণা নয়? হ্যাঁ,
এ এক
প্রহসনের খেলা চলছে আমাদের
সমাজেই।
আমাদের দেশে ১৫ বছর বয়সের
আগে যেখানে কাজ
বা চাকরি আইনগতভাবে নিষিদ্ধ,
সেখানে অধিকার তো পরের কথা।
কিন্তু
যে শিশু জন্মে নয় মায়ের দুধ শূন্য বুকে,
অপুষ্টি আর অনাদরে, অভাব যার
প্রতিদিনকার
সাক্ষী, সে কী এই দীর্ঘ ১৫ বছর
অপেক্ষা করতে পারে? তাই
তো বাস্তবে দেখা যায় লাখ লাখ
শিশু
শ্রমিক কাজ করে কলে-কারখানায়,
গ্যারেজে, বাস-ট্যাম্পুতে, হোটেল,
রেস্তোরাঁয় ও বাসায়। কোন
মতে দু’বেলা আধপেট খাওয়ার
নিশ্চিত
আশ্বাসের মাঝেই খুঁজে পাচ্ছে তার
পরম
পাওয়া।
আমাদের এই রাজধানীতেই
রয়েছে লাখ
লাখ ভাসমান শিশু। অনেকে কাজ করে,
আবার
কাউকে অসৎ পন্থায় উপার্জন করারও
প্রশিক্ষণ
দেয়া হয়। অংকুরেই তার নীতিবোধ ও
মনের
সুকুমার বোধগুলো দেয়া হয় ধ্বংস করে।
আমরা এসব দেখছি ও দেখেও কার্যকর
কোন পথ
তাদের জন্য করে দিচ্ছি না।
তা হলে শিশুরা কোন পথে যাবে?
শিশুরাতো শিশুই।
সে তো নিজে পারে না তার
মৌলিক
অধিকার বাস্তবায়ন করতে।
শিশু হচ্ছে মাতা-পিতার নিকট রক্ষিত
অবস্থায় একটি পবিত্র আমানত। আর এ
আমানত
সম্পর্কে আখেরাতে তাদের
বিজ্ঞেসা করা হবে।
যদি পিতামাতা অজ্ঞতা বা অক্ষমতার
কারণে শিশুদের দেখাশুনায়
মনোযোগী না হয়, তবে অবশ্যই তাদের
জবাবদিহি করতে হবে। শিশু তার
শৈশবে প্রকৃত বিপদ
কোনটি তা উপলব্ধি করতে পারে না।
এই
জন্যই পিতামাতার দায়িত্ব
হচ্ছে তাদের
সন্তানদের রোগের আক্রমণ
থেকে বাঁচানোর প্রয়াস নেয়া।
শিশুদের
চিকিৎসার ব্যাপারে এবং শিশুদের
জন্যে মারাত্মক রোগের হাত
থেকে বাঁচার
ব্যাপারে অন্যমনস্কতা প্রদর্শন
থেকে ইসলাম সতর্ক করে দেয়।
একটি শিশু তার দেশ ও সমাজের জন্য
বোঝা নয়। শিশু একজন যোগ্য ও কল্যাণময়
সদস্যরূপে যেন আত্মপ্রকাশ
করতে পারে সেই
উদ্দেশ্যে ইসলাম একটি শিশুর লালন
পালনের
রীতিনীতিও নির্দিষ্ট
করে দিয়েছে।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)
কি বলেছেন, জানো?
‘তোমরা শিশুদের
ভালোবাস এবং তাদের
প্রতি দয়া প্রদর্শন
কর। তাদের সাথে কোন
ওয়াদা করলে তা পূর্ণ কর, কেন
না তারা তোমাদেরই তাদের রিযিক
সরবরাহকারী বলে জানে।’
শৈশবেই শিশুকে আদর ও শিষ্টাচার
শিক্ষা দেয়া অপরিহার্য
করে দিয়েছে ইসলাম, যাতে শিশু
প্রশংসনীয় কর্ম ও সুন্দর চরিত্রে সজ্জিত
হয়ে বড় হতে পারে।
তোমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে-
এসব
তো কাগজে কলমে লেখা হয়।
বাস্তবায়নের
পরেই তো এর সুফল। হ্যাঁ, তা ঠিক।
তবে সুদূর
পরাহত নয়। কেন না বাস্তবায়ন
তো করতেই
হবে। আর তা করতে হবে আমাদেরই।
একা না পারলে, একযোগে, তার
আগে আমাদের মন-
মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে শিশু
উপযোগী করে। শিশুর মতো করে। এ জন্য
ইসলামের পারিবারিক, সামাজিক
তথা সব
ধরনের নির্দেশের প্রতিই
হতে হবে একান্ত
অনুগত। তা হলেই তো শিশু দিবস পালন,
আর শিশু
অধিকার পালন সার্থক হবে।
এসো না বন্ধুরা, আমরা আজ
থেকে নিজেদের
সে পথে এগিয়ে নিয়ে যাই।
সে চেষ্টায়
আরো এক ধাপ এগিয়ে যাই সামনের
দিকে।
অনাগত ভবিষ্যতের অন্ধেষণে।
___সরকারী সফর
আলী কলেজ;আড়াইহাজার,
নারায়নগঞ্জ।। ১৬-০৩-২০১৪ দুপুর : ১২
টা ০৫ মিঃ_-______
oronno sourov , apnar lekhata khub valo legeche.many many thanks.
ধন্যবাদ আপনাকে জলিল